ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরে আন্তঃজেলা দুর্র্ধষ অস্ত্রধারী ডাকাত সর্দার আব্দুল হালিম হাওলাদার (৪৮) কে গ্রেফতার করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় ঝালকাঠি সদর থানার শেখেরহাট ইউনিয়নের গুয়াটন গ্রামের সাধন হাওলাদারের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আব্দুল হালিম হাওলাদার উপজেলার শুক্তগড় ইউনিয়নের জগাইর আট গ্রামের আচন আলীর পুত্র। স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের আন্তঃজেলা র্দুর্র্ধষ অস্ত্রধারী ডাকাত সর্দার, পেশাদার ভাড়াটিয়া খুনি, মাদক সাম্রাজ্যের অধিপতি, ভুয়া আইনজীবী সহকারী এবং র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর উর্দ্বতন মহলের বিশ্বস্ত সোর্স পরিচয়দানকারী এই আব্দুল হালিম। আইনসৃঙ্খলা বাহিনী চোঁখ ফাকি দিয়ে তার কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন।
এর আগে তিনি কখনই আইনসৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়নি। তার একটা নিজস্ব বাহিনী রয়েছে। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০-এর অধিক এবং ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এই বাহিনীর আস্তানা রয়েছে। আবদুল হালিম হাওলাদারের দুই পুত্র মিলন ও সজল এই বাহিনীর সহযোগী এবং সকল অবৈধ কর্মকান্ডের চালিকাশক্তি। তাদেরকে এই বাহিনীর অন্তর্ভূক্ত ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে স্থানীয় এক ডাকাত সদস্য। আইনসৃঙ্খলা বাহিনী ৪৫ বছর যাবত এই বাহিনীকে দমাতে না পারলেও ১৯৭৯ সালে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ লোকমান হোসেন এই বাহিনীর বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ছিলেন এবং অনেককে দমন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই বাহিনীকে শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী খুনি শাহ আলম ও সবুজ হাওলাদার (র্যাব এর সঙ্গে ২০১৪ সালে বন্দুক যুদ্ধে নিহত) অস্ত্র ভান্ডার দিয়ে সম্প্রসারিত করাসহ বাহিনীকে সংগঠিত করে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বাহিনীর ঘাঁটি ও আস্তানা গড়ে তোলে। তখন এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ২ শতাধিক। খুনি শাহ আলম ও সবুজ হাওলাদার নিহত হওয়ায় অনেক অঞ্চলেই গোপনে ঘরে ঘরে মিষ্টি বিতরণ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ডাকাত সর্দার আবদুল হালিম হাওলাদার গ্রেফতার হওয়ার সংবাদেও বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে খুশির খবর পাওয়া গেছে। জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আব্দুল হালিম হাওলাদারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তার রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।
Leave a Reply